লালগড়ের ভাইবোন
গ্রাম ছাড়ব না ('গাঁও ছোড়াব নহি' হিন্দি গানের বাংলা রূপান্তর)
লালন ফকির স্মরণে
গানটি অনলাইনে শুনতে ও ডাউনলোড করতে নীচের লিংক্-এ ক্লিক্ করুন
কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে - শিল্পী- সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়
গানের কথা
কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে
হোক না বিভাজন,
দুই বাংলার অন্তরেতে
বাস করে লালন।
(ও তার ) বাইরেতে ভেদ, ভিতরে এক
মানুষ রতন।
বাংলাদেশের হৃদয় জুড়ে
বাউল দরশন।।
লালনের জন্ম কোথায়-
ভাঁড়ারা না, হরিশপুরে?
পুঁথি ঘেঁটে তত্ত্বকথায়
কী হবে সে হদিশ করে?
এপার-ওপার দুই পারেতে
বাউলের একতারাতে,
গঙ্গা-পদ্মা এক ধারাতেই
প্রাণের মিলন।।
জাতবিচারে করছে যারা
লালনের বাঁটোয়ারা,
তাদের কাছে ‘অধর মানুষ’
থাকবে হয়ে অধরা।
লালনের গানে গানে
মনের মানুষ নাও গো চিনে।
সুরের মাঝেই সুরের গুরুর
হয় অন্বেষণ।।
-- রাজেশ দত্ত, ৯ জুলাই ২০০৯
চাল ফুরায় ডাল ফুরায়
গানটি অনলাইনে শুনতে ও ডাউনলোড করতে নীচের লিংক্-এ ক্লিক্ করুন
চাল ফুরায়- শিল্পী: সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়
গানের কথা
বয়স বাড়লে শরীর ভাঙে,
ভাঙে নদীর পার।
বল্ দেখি মন, লোহার মতন
কী সে জোরদার?
সে যে সাহস বাঁধনছেঁড়া,
সে যে সাহস বুকভরা।
লড়াই করে বাঁচার তরে
শক্ত শিরদাঁড়া।
সে যে মানুষের সততা,
সে যে বিবেকের বারতা।
আপোসহীন সৎ মানুষের
প্রাণেরই সততা।
গনশিল্পী সুরেশ বিশ্বাসে’র স্মৃতির উদ্দেশে শ্রদ্ধার্ঘ্য
(সুরেশ বিশ্বাসের গান “আমি তোমাদের অতি চেনা বন্ধু”-এর মূল সুরে সুরারোপিত)
গানটি অনলাইনে শুনতে ও ডাউনলোড করতে নীচের লিংক্-এ ক্লিক্ করুন
তুমি আমাদের অতি চেনা বন্ধু - শিল্পী: সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়
গানের কথা
তুমি আমাদের অতি চেনা বন্ধু,
তুমি নিপীড়িত মানুষের শিল্পী।
আজও অন্তরে ভরে আছে রেশটা-
ওগো তোমারই সুরের, সুরেশদা।
কেউ বেচে গান, কেউ লেখনী।
জীবনে আপোস তুমি শেখোনি।
কখনো হেঁটেছো একা,
কখনো বা মিছিলে--
পাল্টাতে চেয়েছিলে দেশটা।
বিদ্রোহী, হওনি তো ক্লান্ত।
দেখেছো সময় দিগ্ভ্রান্ত।
ক্ষুধার রাজ্যে তুমি
ছিলে যে পদ্যময়,
আকণ্ঠ জীবনের তেষ্টা।
আজো অহল্যা মায়েরা মরছে,
শত শহীদের রক্ত ঝরছে।
দিনবদলের গানে,
ফিরে এসো প্রাণে প্রাণে
পরে গণবাউলের বেশটা।
--রাজেশ দত্ত, ২৮ জুন, ২০১১
রাজেশ দত্তের কথায় ও সুরে শিল্পী সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গানের সিডি ও ক্যাসেট
(যন্ত্রানুষঙ্গ বর্জিত একটি ব্যতিক্রমী প্রয়াস)
গানের কথা
ও আমার লাল লাল লাল লাল
লালগড়ের ভাইবোন।
হেই সামাল সামাল আমার দামাল
সাঁওতালি ভাইবোন।
ওরে ডরাস না, ডরাস না শাসকের হুংকারে।
আর তরাস না, তরাস না সন্ত্রাসে সংহারে।
বাজছে বুকে ধামসা মাদল,
বদলা নিয়েই আনব বদল।
উঠছে আওয়াজ প্রতিরোধের অস্ত্রের ঝংকারে।
দিনবদলের ডাক দিয়ে আয় ধনুকের টংকারে।
আমার লাল লাল লাল লাল
লালগড়ের ভাইবোন।
ওই উতল হাওয়ায় মাতাল হল
শাল-পিয়ালের বন।
শাল-পিয়ালের বন।
ঝড়ের দোলায় মাতল পরান
জাগল রে যৌবন।
উঠল জেগে সিধু-কান্হু,
ডাক দিয়েছে হুল।
প্রাণের আগুন লাগল বনে
রাঙিয়ে পলাশফুল।
সইবে না আর শাসন শোষণ
মুক্ত স্বাধীন মন।
আমার লাল লাল লাল লাল
লালগড়ের ভাইবোন।
আজ বঞ্চনা আর অত্যাচারের
হিসেব নেব বুঝে।
হিসেব নেব বুঝে।
জোট বেঁধে আজ প্রতিরোধের
পথ নিয়েছি খুঁজে।
রক্তে রাঙা মাটির শপথ
করছি কবুল জান,
সব খুইয়েও মানব না হার,
হারাবো না মান।
তাই টাঙ্গি-কুড়াল শান দিয়ে আয়,
ঘুচুক রে বাঁধন।
আমার লাল লাল লাল লাল
লালগড়ের ভাইবোন।
- রাজেশ দত্ত, ২৫ বৈশাখ ১৪১৬, চন্দননগর
গ্রাম ছাড়ব না ('গাঁও ছোড়াব নহি' হিন্দি গানের বাংলা রূপান্তর)
গানের কথা
গ্রাম ছাড়ব না।
জঙ্গল ছাড়ব না।
মা-মাটিকে ছাড়ব না,
এই লড়াই ছাড়ব না।
বাঁধ বানিয়ে গ্রাম ডোবায়,
কারখানা গড়ে।
জঙ্গল কেটে, খাদান খুঁড়ে
অভয়ারণ্য করে।
জল-জঙ্গল-জমি ছেড়ে আমরা
কোন্খানে আর যাবো?
‘উন্নয়ন’-এর দেব্তা বলো
ক্যামনে প্রাণ বাঁচাবো?
(ভাই রে) ক্যামনে প্রাণ বাঁচাবো?
যমুনা শুকায়, নর্মদা শুকায়
শুকায় সুবর্ণরেখা।
গঙ্গা হোলো নোংরা নালা,
কৃষ্ণা কালো রেখা।
তোমরা খাবে পেপসি-কোলা,
বিস্লেরির বোতল।
আমরা কোথায় পাবো বলো
তেষ্টা মেটার জল?
(হায় রে) কোথায় পাবো জল?
হাজার হাজার বছর ধরে
জঙ্গল রক্ষা করি।
সুজলা-সুফলা-শস্য শ্যামলা
এই পৃথিবী গড়ি।
তোদের লোভের আঁচে পুড়লো ধরা,
সবুজ হোলো ধ্বংস।
মাছ মারলি, পাখপাখালি
করলি রে নির্বংশ।
(হায় হায়) করলি রে নির্বংশ।
মন্ত্রী বনে কোম্পানির দালাল,
ছিনিয়ে নিল জমি।
বন্দুক-লাঠির জোরে চলে
পুলিশি গুন্ডামি।
আমলারা হয় রাজাউজির,
ঠিকাদাররা ধনী।
গাঁ আমাদের হয়ে গেল হায়,
ওদেরই কলোনি।
(হায় রে) ওদেরই কলোনি।
বির্সা ডাকে একজোট হও,
এসো দলিত, চাষি।
চুপ থেকো না, আওয়াজ ওঠাও
এসো আদিবাসী।
খেত-খাদান জাগিয়ে বাজাও
ধামসা-মাদল-বাঁশি।
লড়াই ছাড়া বাঁচার পথ নাই
শোনো দেশবাসী।
(ও ভাই) শোনো দেশবাসী।
হিন্দী থেকে ভাষান্তর- রাজেশ দত্ত, ৩১ জুলাই ২০০৯
লালন ফকির স্মরণে
গানটি অনলাইনে শুনতে ও ডাউনলোড করতে নীচের লিংক্-এ ক্লিক্ করুন
কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে - শিল্পী- সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়
গানের কথা
কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে
হোক না বিভাজন,
দুই বাংলার অন্তরেতে
বাস করে লালন।
(ও তার ) বাইরেতে ভেদ, ভিতরে এক
মানুষ রতন।
বাংলাদেশের হৃদয় জুড়ে
বাউল দরশন।।
লালনের জন্ম কোথায়-
ভাঁড়ারা না, হরিশপুরে?
পুঁথি ঘেঁটে তত্ত্বকথায়
কী হবে সে হদিশ করে?
এপার-ওপার দুই পারেতে
বাউলের একতারাতে,
গঙ্গা-পদ্মা এক ধারাতেই
প্রাণের মিলন।।
জাতবিচারে করছে যারা
লালনের বাঁটোয়ারা,
তাদের কাছে ‘অধর মানুষ’
থাকবে হয়ে অধরা।
লালনের গানে গানে
মনের মানুষ নাও গো চিনে।
সুরের মাঝেই সুরের গুরুর
হয় অন্বেষণ।।
-- রাজেশ দত্ত, ৯ জুলাই ২০০৯
চাল ফুরায় ডাল ফুরায়
গানটি অনলাইনে শুনতে ও ডাউনলোড করতে নীচের লিংক্-এ ক্লিক্ করুন
চাল ফুরায়- শিল্পী: সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়
গানের কথা
চাল ফুরায়, ডাল ফুরায়
ফুরায় আনাজপাতি।
তেল ফুরালে পিদিম নেভে,
দিন ফুরালে রাতি।
টাকা ফুরায়, পয়সা ফুরায়
ফুরায় সোনাদানা।
বল্ দেখি মন, কোন্ সে রতন
দিলেও ফুরায় না?
সে যে প্রাণের ভালোবাসা,
সে যে মনের ভালোবাসা।
ফুরায় আনাজপাতি।
তেল ফুরালে পিদিম নেভে,
দিন ফুরালে রাতি।
টাকা ফুরায়, পয়সা ফুরায়
ফুরায় সোনাদানা।
বল্ দেখি মন, কোন্ সে রতন
দিলেও ফুরায় না?
সে যে প্রাণের ভালোবাসা,
সে যে মনের ভালোবাসা।
সাত রাজার ধন এক মানিক
এই জীবনেরই আশা।
ঘুণ ধরলে কাঠ ভেঙে যায়।
ভাঙে মাটির হাঁড়ি।
কাচের শিশি-বোতল ভাঙে,
ভাঙে রে ঘরবাড়ি।এই জীবনেরই আশা।
ঘুণ ধরলে কাঠ ভেঙে যায়।
ভাঙে মাটির হাঁড়ি।
কাচের শিশি-বোতল ভাঙে,
বয়স বাড়লে শরীর ভাঙে,
ভাঙে নদীর পার।
বল্ দেখি মন, লোহার মতন
কী সে জোরদার?
সে যে সাহস বাঁধনছেঁড়া,
সে যে সাহস বুকভরা।
লড়াই করে বাঁচার তরে
শক্ত শিরদাঁড়া।
হাটবাজারে বিকায় সবই,
বিকায় ঘটিবাটি।
খেতের ফসল, হালের বলদ
বিকায় ঘটিবাটি।
খেতের ফসল, হালের বলদ
পুকুর, ভিটামাটি।
আলু-পটল, বাড়ি-গাড়ি
জুতো-শাড়ি-গয়না,
বল্ দেখি মন, কোন্ সে রতন
টাকায় কেনা যায় না?আলু-পটল, বাড়ি-গাড়ি
জুতো-শাড়ি-গয়না,
বল্ দেখি মন, কোন্ সে রতন
সে যে মানুষের সততা,
সে যে বিবেকের বারতা।
আপোসহীন সৎ মানুষের
প্রাণেরই সততা।
গনশিল্পী সুরেশ বিশ্বাসে’র স্মৃতির উদ্দেশে শ্রদ্ধার্ঘ্য
(সুরেশ বিশ্বাসের গান “আমি তোমাদের অতি চেনা বন্ধু”-এর মূল সুরে সুরারোপিত)
গানটি অনলাইনে শুনতে ও ডাউনলোড করতে নীচের লিংক্-এ ক্লিক্ করুন
তুমি আমাদের অতি চেনা বন্ধু - শিল্পী: সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়
গানের কথা
তুমি আমাদের অতি চেনা বন্ধু,
তুমি নিপীড়িত মানুষের শিল্পী।
আজও অন্তরে ভরে আছে রেশটা-
ওগো তোমারই সুরের, সুরেশদা।
কেউ বেচে গান, কেউ লেখনী।
জীবনে আপোস তুমি শেখোনি।
কখনো বা মিছিলে--
পাল্টাতে চেয়েছিলে দেশটা।
বিদ্রোহী, হওনি তো ক্লান্ত।
দেখেছো সময় দিগ্ভ্রান্ত।
ক্ষুধার রাজ্যে তুমি
ছিলে যে পদ্যময়,
আকণ্ঠ জীবনের তেষ্টা।
আজো অহল্যা মায়েরা মরছে,
শত শহীদের রক্ত ঝরছে।
দিনবদলের গানে,
ফিরে এসো প্রাণে প্রাণে
পরে গণবাউলের বেশটা।
--রাজেশ দত্ত, ২৮ জুন, ২০১১
রাজেশ দত্তের কথায় ও সুরে শিল্পী সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গানের সিডি ও ক্যাসেট
(যন্ত্রানুষঙ্গ বর্জিত একটি ব্যতিক্রমী প্রয়াস)
পাল্টা স্রোতের গান
সমকালীন বাংলা গান
আবহাওয়া পাল্টায়
সাগরের ছিল গভীরতা
গুজব
আমার গানের ভাষা বাংলা
কারো মনে সংশয়
গুড়িয়া
মাকড়সাতে জাল বিছালো
খাল কাইটা আনলি কুমীর
মাটি আমাদের প্রাণ
মাগো আমার মা
রঞ্জনা
বেণীমাধব
এই অডিও সিডি-র গানের কথা পড়তে বা ডাউনলোড করতে নীচের লিংকে ক্লিক্ করুন
Palta Sroter Gaan (The Songs of The Reverse Stream) Audio CD's Lyrics by Rajesh Datta
মিলনসাগরের সাংস্কৃতিক ওয়েবসাইটে রাজেশ দত্তের কবিতা ও গানের সংকলনে যেতে এখানে ক্লিক করুন
নন্দীগ্রামের মা (Home Recording)
মাটি আমাদের প্রাণ
নন্দীগ্রামের মা (Home Recording)
আমার গানের ভাষা বাংলা
সাগরের ছিল গভীরতা
আবহাওয়া পাল্টায়
গুজব
কারো মনে সংশয়
গুড়িয়া
মাকড়সাতে জাল বিছালো
খাল কাইটা আনলি কুমীর
মাগো আমার মা
রঞ্জনা
বেণীমাধব
কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে (লালন স্মরণে)
কেউ কথা রাখুক বা না রাখুক
হায় পৃথিবী তোমায় গেছে ভুলে (শিল্পী পিন্টু ভট্টাচার্যের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী)